বর্তমান সময়ে ব্লগিং একটি অন্যতম অলোচ্য বিষয়। নিজের কথাগুলো এবং বিভিন্ন জানা বিষয়সমূহ অন্যদের সাথে শেয়ার করার অন্যতম মাধ্যম হলো ব্লগিং। তাই আজকের আলোচ্য বিষয়, আপনি নিজে ব্লগিং কেন করবেন? চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
Table of Contents
ব্লগিং কেন করবেন?
ধরুন, আপনি একটি টপিক এর উপর কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ দিলেন তাহলে ঐ বিষয়ের উপর অনেকগুলো ব্লগ বা ওয়েবসাইটের লিস্ট পাবেন। যেগুলো সাইটে গিয়ে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন। অনুরূপভাবে, আপনি যখন কোন বিষয়ে ভাল জানেন আবার সেগুলো যদি নিজের ব্লগ অথবা অন্য কোন ব্লগ সাইটে পোস্ট দেন তাহলে অন্যরা ঐ টপিকে সার্চ করার সময় সেগুলো পাবে এবং তারাও জানতে পারবে। এতে করে তারাও উপকৃত হতে পারবে।
এছাড়াও নিম্নলিখিত কারণে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন
- ব্লগিং এর মাধ্যেমে সাম্প্রতিক, এবং ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়ে নিজের চিন্তা-চেতনা ও মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।
- ব্লগিং এর মাধ্যমে নিত্য নতুন অনেক কিছু শিখা যায় এবং অন্যকে শিখাতে সাহায্য করা যায়।
- ব্লগিং এর মাধ্যমে অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েশন ও স্পনসরশিপ থেকে আয় করা যায়।
- ব্লগিং এর মাধ্যমে একজন ভালো লেখক হওয়া যায়।
- ব্লগিং এর মাধ্যমে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার পাশাপাশি অন্যকে অনুপ্রাণিত করা যায়।
জেনে নিন ব্লগিং এর জন্য সেরা ১০ টি ফ্রি সাইট
আপনারা যারা প্রাথমিকভাবে ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই তাদের জন্য সেরা ১০ টি ফ্রি ব্লগিং সাইট নিচে দেওয়া হলো। যেগুলো সাইটে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলো সহজেই আপনার মতামত শেয়ার করতে পারবেন।
১. Blogger
ব্লগারদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হলো blogger.com। পাইরা ল্যাবস নামে একজন ব্যাক্তি প্রথমে এটি তৈরি করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে গুগল কিনে নেয় এবং ব্লগারদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। গুগলের নিজস্ব সার্ভারে এটিকে হোস্ট করে। ব্লগার-এর স্বয়ংক্রিয় সাব-ডোমেইন হচ্ছে .blogspot.com। একজন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী একটি এ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১০০ টি ব্লগ তৈরি করতে পারেন বিনামূল্যে। যেখানে এককভাবে বা যৌথভাবে আপনি সময়ের ক্রমানুসারে ব্লগে বিভিন্ন তথ্যবলী শেয়ার করতে পারবেন।
২. WordPress
বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহ্রত ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপলিকেশনস এবং শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) হলো ওয়ার্ডপ্রেস। যা কিনা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল দ্বারা তৈরিকৃত একটি ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়্যার। সর্বপ্রথম ম্যাট মুলেনওয়েগ নামে এক ব্যাক্তি ২০০৩ সালের ২৭শে মে এটি প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করেন। প্রথম পর্যায়ে এটি একটি ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম ছিল কিন্তুু পরবর্তীকালে এটাকে একটি ইঞ্জিন তৈরি করে বিনামূল্যে তা ডাউনলোড করে যেকোনো ব্লগারকে ব্যবহারের সুবিধা দিতে শুরু করে।
যে কেউ কোন প্রকার পিএইচপি, মাইএসকিউএল বা এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রফেশনাল মানের ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
৩. Medium
সহজ ও প্রফেশনাল মানের ফিচার হওয়ায় বর্তমানে মিডিয়ামের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। টুইটার কো ফাউন্ডার ও সিইও ইভ উইলিয়াম এটি প্রতিষ্টা করেন। গুগল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই লগইন করার মাধ্যমে আপনি কমেন্টস ও ব্লগিং শুরু করতে পারবেন । আপনি যদি ব্লগিং এ নতুন হন এবং দেশী ও বিদেশী পাঠকের সাথে যুক্ত হতে চান তবে এই প্লাটফর্মে যুক্ত হতে পারেন।
৪. Tumblr
টাম্বলার হলো একটি মাইক্রোব্লগিং এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম। যেখানে প্রত্যেক ইউজার বা ব্যবহারকারীরা যে কোন নামে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের লেখা, ছবি, ওয়েব অথবা ব্লগ লিংক, উক্তি, ভিডিও এবং অডিও ইত্যাদি আপলোড করতে পারবেন। আবার সকল ব্যবহারকারীরা একজন আরেকজনকে ফলো বা অনুসরন করতে পারবেন।
৫. Wix
ইজি ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ সিস্টেমে (ওয়েবসাইট বিল্ডার) সহজেই একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় বলে উইক্স এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি একটি ইসরাইল ভিত্তিক পাবলিক কোম্পানি যা ২০০৬ সালে প্রতিষ্টিত হয়েছে। বর্তমানে এটি ওয়েবসাইট বিল্ডার, টেম্পলেট, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ওয়েব হোস্টিং সহ নানান সার্ভিস দিয়ে থাকে।
৬. Weebly
উইবলি হলো একটি ওয়েবসাইট হোস্টিং সেবা সমন্বিত একটি “drag-and-drop” ওয়েবসাইট নির্মাতাকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেভিড রাসেনকো, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) ক্রিস ফানিনি এবং প্রধান পরিচালনা অফিসার (সিওও) ড্যান ভেল্ট্রি এ যৌথ সম্বনয়ে ২০০৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সহজেই সাইনআপ করে আপনি এখানে নিজের একটি ব্লগ কিংবা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
৭. HubPages
হাবপেইজ হলো একটি ওপেন কমিউনিটি ব্লগিং প্লাটফর্ম যেখানে আপনি সকল ধরনের কন্টেন্ট পাবলিশিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কারদের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। পাশাপাশি সেখান থেকে অ্যাড মনিটাজেশন এ্যাপ্লাই করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
৮. LiveJournal
লাইভজার্নাল মূলত একটি রাশিয়ান সোসাল নেটওয়ার্কি সাইট এবং অনলাইন কমিউনিটি যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের লাইফ স্টোরিজ, দিক নির্দেশনা, এবং বিভিন্ন আইডিয়া শেয়ার করে থাকেন। লাইভ জার্নালের সোশ্যাল কমিউনিটি ফিচার অন্যান্য ব্লগিং প্লাটফর্ম থেকে ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ায় বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
৯. Quora
কোরা মূলত একটি বহুল ব্যবহৃত প্রশ্ন-উত্তর ভিত্তিক সাইট। যেখানে একজন প্রশ্ন করলে অন্য ইউজারগন সেই প্রশ্নের রিপ্লাই দিয়ে থাকেন। বর্তমানে এটি বাংলা ভাষায় প্রশ্ন-উওর করা যায় বলে ইউজার বাড়ার সাথে সাথে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আপনি চাইলে ফেসবুক, টুইটার ও ইমেইল দিয়ে সহজেই একটি অ্যাকউন্ট খুলে আপনার অজানা প্রশ্ন করতে এবং অন্যর প্রশ্নের উত্তর জানাতে পারবেন।
১০. EduBlog
পৃথিবীর সর্বাধিক জনপ্রিয় শিক্ষা বিষয়ক ব্লগিং প্লাটফর্ম হলো ইডুব্লগ। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণ খুব সহজে শিক্ষা বিষয়ক ব্লগিং সেবা প্রদান করার উদ্যেশ্যে ইডুব্লগে লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও, এবং তাদের কমেন্ট শেয়ার করে থাকেন। আপনি যদি শিক্ষা সম্পর্কিত একটি ব্লগ তৈরি করতে চান তাহলে ইডুব্লগ আপনার জন্য সেরা ব্লগিং প্লাটফর্ম হতে পারে।
এছাড়া আরও বেশ কিছু ফ্রি ব্লগিং সাইট আছে যেগুলোতে আপনি অ্যাকাউন্ট ওপেন করে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলেই পাবেন।
তবে আপনা সুবিধার জন্য নিচে বাংলাদেশী কিছু ব্লগিং সাইট দেওয়া হলো। আপনি চাইলে সেগুলোতেও অ্যাকাউন্ট খুলে সাম্প্রতিক, এবং ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়ে নিজের চিন্তা-চেতনা ও মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।
পরিশেষে
আশাকরি, পোস্টি টি পড়ার পর, ব্লগিং কেন করবেন? এই বিষয়ে একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন। পাশাপাশি ব্লগিং বিষয়ে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
I must convey my respect for your generosity giving support to persons who should have help with your subject. Your real commitment to getting the message all over had been really important and has in most cases helped some individuals just like me to attain their desired goals. The informative suggestions implies so much to me and much more to my mates. Regards; from each one of us. Lynsey Rolando Warenne