ডোমেইন নেম (Domain Name) কি? আবার কেনই বা এই ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়? আমরা যারা নতুন তাদের অনেকের মনে এই বিষয়ে নিয়ে নানান প্রশ্ন আছে , মূলত তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট। আশা করছি পোস্টটি পড়ার পর ডোমেইন সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন আছে তা অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে।
Table of Contents
ডোমেইন নেম কি
ডোমেইন নেম (Domain) হলো একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ হলো স্থান বা ঠিকানা। যা মূলত ভার্চুয়াল অনলাইন জগতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে, ডোমেইন নাম বলতে সাধারনভাবে কোন একটি ওয়েবসাইটের নামকে বোঝায়। চলুন নিচের উদাহরণ টি জেনে নেওয়া যাক।
ধরুন, আপনি ছোট করে একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করলেন পাশাপাশি তার একটি সুন্দর ও ইউনিক নাম দিলেন যাতে করে মানুষ সহজেই বুঝতে পারে যে আপনি কি ধরনের সার্ভিস দিতে চাচ্ছেন। এত করে, পরবর্তীতে কোন কাস্টমার যখন আপনার প্রদত্ত সার্ভিস নিতে যাবে তখন আপনার দেওয়া নামের মাধ্যমে সহেজেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে খুজে পাবে । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়ঃ — পাঠাও, সহজ, বিকাশ এর কথা। এগুলো মূলত এক একটি বিজনেস প্রতিষ্ঠান এর নাম যা দেখে আমরা সহজেই বুঝতে পারি তারা কি ধরনের সেবা দিয়ে থাকে এবং কিভাবে মানুষজন তাদের ঠিকানা সহজেই খুঁজে পায়।
ঠিক একইভাবে অনলাইনে যে নামের মাধ্যমে আপনার বিজনেস প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইটটি মানুষজন খুজে পাবে সেটাই হলো সেই ডোমেইন নেম। যার মাধ্যমে সবাই উক্ত নাম ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে এবং একই সাথে প্রয়োজনীয় সার্ভিস নিতে পারবে।
যে কারণে ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়
অনলাইনে যদি নিজের সার্ভিস বা বিজনেস সম্পর্কিত একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। চলুন নিচের উদাহরনটি দেখা যাক।
আমরা সবাই কম বেশি পাঠাও এর নাম শুনেছি। উনারা মূলত, রাইড শেয়ারিং ও কুরিয়ার সার্ভিস দিয়ে থাকে। তারা যদি আগের ট্রাডিশনাল ওয়েতে ঐ সকল সার্ভিস প্রদান করতো তাহলে এতো বড় মাল্টি মিলিয়ন কোম্পানি কখনই হতে পারতো না। তারা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার সাথে সাথে অনলাইনে তাদের ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং আরও দ্রুত সার্ভিস নিশ্চিত করতে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপস তৈরি করেছে। যার ফলে কাস্টমার রা সহজেই ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে তাদের সাথে কানেক্ট করতে পারছে এবং তাদের সার্ভিস ব্যবহার করছে।
এখন আপনিও চাচ্ছেন একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠা করতে অথবা ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন। সেই সাথে আপনিও চাচ্ছেন আপনার প্রদত্ত সার্ভিসটিও ওয়েবসাইট এর মাধ্যেমে প্রদান করবেন। তো আপনি যদি শুধু ওয়েবসাইট বানিয়ে রাখেন তাহরে কাস্টমাররা আপনার ওয়েবসাইট কখনই খুজে পাবে না। ঠিক এ কারণেই আপনাকে একটি ডোমেইন মে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইট টি সর্বক্ষণিক চালু রাখার জন্য একটি হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে হবে।
আশাকরি, ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কেন? এ সম্পর্কে একটু হলেও ধারনা পেয়েছেন।
যেভাবে ডোমেইন নেম ও হোস্টিং সার্ভিস কিনবেন
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক গুলো কোম্পানি রয়েছে যারা কিনা বিদেশী কোম্পানির চেয়ে তুলনামূলক স্বল্পদামে ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন ও ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে থাকে। আপনি বিকাশ ও রকেট দিয়ে সহজেই তাদের কাছ থেকে কিনতে পারেবেন। তবে চাটুকারী বিজ্ঞাপন ও প্রচারের মাধ্যেমে কম দামে অনেকেই ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন ও ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস সেল করার চেষ্টা করে থাকে। আপনাকে দেখেশুনে (কাস্টমার রিভিউ, আফটার সেলস সার্ভিস, আপটাইম, মানিব্যাক পলিসি ইত্যাদি) সেসব কোম্পানি থেকে সার্ভিস নিতে হবে।
কিভাবে দেশীয় কোম্পানি থেকে হোস্টিং সার্ভিস কিনবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন।
দেশীয় হোস্টিং সার্ভিস কেনার আগে জেনে নিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
পরিশেষে
কথায় আছে টাইম এবং ডোমেইন কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই আপনি যদি আপনার পছন্দের কোন ডোমেইন কিনে না থাকেন তাহলো দ্রুত কিনে নিন। অন্যথায় সেটা অন্যর দখলে চলে যেতে পারে।
আশাকরি পোস্টটি পড়ার পর ডোমেইন নেম কি? ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কেন? এবং কিভাবে ডোমেইন ও হোস্টিং সার্ভিস কিনবেন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি, এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। অনেক শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ!
I am sure this post has touched all the internet people, its really really good piece of writing on building up new website.| Gill Jarret Garth
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করিব?