আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমরা ওয়েবসাইট এর পরিচিতি এবং এর ব্যাসিক তথ্য গুলো সম্বন্ধে আলোচনা করবো ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইট থাকার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাসমূহ, এটি কিভাবে কাজ করে এবং কি কি ধরনের ওয়েবসাইট হতে পারে। এ বিষয় নিয়ে। চলুন জেনে নিয়ে যাক
ওয়েবসাইট (Website) কি?
সাধারনত, ওয়েবসাইট হলো কোন নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে রাখা বিভিন্ন ধরনের ওয়েব পৃষ্ঠা, আপলোড কৃত ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য বিষয় যেমনঃ Infographic, GIP, Animation ইত্যাদি ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যন্য স্মার্ট ডিভাইসের এর মাধ্যমে এক্সেস করে দেখতে পারি।
আর ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করাতে হলে আপনাকে নিচের ৩ টি কাজের মধ্য দিয়ে এগোতে হবে।
- প্রথমত, আপনাকে অবশ্যই একটি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
- পছন্দের প্লান ও প্যাকেজ অনুযায়ী ভালো মানের ওয়েব হোস্টিং কিনতে হবে
- এবং সব শেষে ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করতে হবে
ওয়েব পেজ (Web Page) কি?
একটা ওয়েবসাইটে বেশ কিছু ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা থাকে । ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা মূলত একটি html document যা http protocol এর মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্রাউজারে স্থানান্তরিত হয়। আর এই সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইট গুলিকে সমষ্টিগতভাবে “WWW” অর্থাৎ (ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা বিশ্বব্যাপী জাল) নাম বলা হয়ে থাকে।
যতই দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি, ব্যবসায়ীক কাজের জন্যও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েই চলেছে । প্রতিটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য ও সেবা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার সামনে প্রকাশ করছে । ফলে তারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা প্রসার সহ নানাবিধ সুবিধা পাচ্ছে । ঠিক এইসব কথা মাথায় রেখে ওয়েবসাইট থাকার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাসমূহ নিচে আলোচনা করা হলোঃ
ওয়েবসাইট থাকার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাসমূহ
১। খুব কম খরচে যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে তাদের ব্যবসার প্রসার করতে পারে ।
২। যে কেউ যে কোন স্থান থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য যে কোন সময় দেখতে পারে ।
৩। নির্দিষ্ট প্রসেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রকাশ করা যায় ।
৪। ওয়েবসাইটে লেখা, অডিও, ভিডিও, স্থির চিত্র, অ্যানিমেশন ইত্যাদি যুক্ত করা সহ এছাড়াও আরও অনেক কাজ করা যায়।
৫। ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ( যেমনঃ বিভিন্ন ছবি, অডিও, ভিডিও, পিডিএফ ফাইল ) ডাউনলোড করা যায় ।
৬। সাধারনত প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে অনেক কম খরচে আকর্ষণীয় ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় ।
৭। বড় বড় কর্পোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেনের ও পরিচিতি লাভের জন্য ওয়েবসাইটকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
৮। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ও সহজেই যেকোন ব্যবসা মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে ও আস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।
৯। বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থাকার ফলে আমরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও জানতে পারি । যেমনঃ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট, ভুমি বা জমি-জমা সংক্রান্ত তথ্য, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি।
১০। আজ ওয়েবসাইটের ব্যবহার আছে বলেই Amazon, Aliexpress, এবং Ebay এর মত বড় বড় ই-কমার্স সাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সেগুলো হতে আফিলিয়েশন এর মাধ্যমে নিশ সাইট গড়ে তুলে আজ মানুষ অনেক টাকা ইনকাম করছে।
ওয়েবসাইট ডাউন হলে বোঝার উপায় কি? জেনে নিন করণীয় ৫ টি দিক!
আশা করি পোস্ট টি পরার আপনি “ওয়েবসাইট কি ? ওয়েবসাইট থাকার ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাসমূহ” সম্পর্কে বুজতে সক্ষম হয়েছেন । পরিশেষে, লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না । আর এ বিষয় নিয়ে আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
কি ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় শিখতে চাই
ধন্যবাদ, আমরা এই ব্যাপারে খুব শিঘ্রই আর্টিকেল লিখবো।
nice post
ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো লেখা গুলো পরে
ধন্যবাদ।
অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
খুব দরকার ছিলো জানার।ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ।