আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমরা আলোচনা করবো “SSL সার্টিফিকেট এর বিভিন্ন ধরন বা প্রকারভেদ” এ বিষয় নিয়ে। চলুন জেনে নিয়ে যাক ………
গত পোস্টে আমরা “SSL সার্টিফিকেট কি? SSL সার্টিফিকেট কীভাবে কাজ করে (পর্ব ০১)” ও কেন এবং কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করবেন? (পর্ব ০২) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি । আপনি যদি এ বিষয়ে জেনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই জেনে নিবেন ।
Table of Contents
SSL সার্টিফিকেট এর প্রকারভেদ
মূলত, SSL সার্টিফিকেট বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো ।
Secure Domain এর (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করে SSL সার্টিফিকেট কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়
১) সিঙ্গেল নেম এসএসএল সার্টিফিকেট (Single Name SSL certificate):
Single Name SSL certificate শুধু মাত্র একটি Domain এই SSL সার্টিফিকেট ভেলিডেট (Validate) করতে পারে। কোন Sub Domain এটা ভেলিডেট করতে পারে না।
২) ওয়াইল্ড কার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট (Wildcard SSL Certificate):
Wildcard SSL Certificate একটি Domain এর আন্ডারে সকল Sub Domain ও ভেলিডেট করতে পারে। যেমন, https://itnuthosting.com/ https://clients.itnuthosting.com/
৩) মাল্টি ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট (Multi-Domain SSL Certificate):
Multi-domain SSL Certificate একাধিক Domain এবং Sub Domain সার্টিফাইড করতে পারে। যারা একসঙ্গে কয়েকটি বিজেনস ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ চালান তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য।
ভেলিডেশনের ( Validation) উপর ভিত্তি করে SSL তিন ধরণের হয়ে থাকে।
১) ডোমেইন ভেলিডেশন (Domain Validation)
সাধারণত এ ধরণের SSL সার্টিফিকেট আপনার Email Address অথবা DNS Record এর উপর ভিত্তি করে ডোমেইন ভেলিডেট (Domain Validate) করে থাকে। মূলত আপনি যে ডোমেইন এর মালিক সেটার ভেলিডেশন করায় এটার কাজ।
যাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দরকার পড়ে না তারা এই ধরণের SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারে এবং এটি বেশ চিপও বটে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এটি একটিভ করা যায়।
২) প্রাতিষ্ঠানিক ভেলিডেশন (Organization Validation)
ই-কমার্স অথবা ব্যবসায়িক ওয়েব সাইটের জন্য এটায় সব থেকে কম দামের SSL সার্টিফিকেট। ডোমেইন ভেলিডেশন এবং অর্গানাইজেশন ভেলিডেশনের মধ্যে পার্থক্য হলো ডোমেইন ভেলিডেশন শুধুমাত্র ডোমেইন সার্টিফিকেশন দেয় অন্যদিকে অর্গানাইজেশন ভেলিডেশন প্রাতিষ্ঠানিক এড্রেস, লোকেশন সহ অন্যান্য বেশ কিছু ভেলিডেশন দেয়। সাধারণত ২-৩ দিন লাগে এটা ভেলিডেট করতে।
৩) এক্সটেনডেট ভেলিডেশন (Extended Validation)
যেইসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন ট্রানজেকশন (Transaction) হয় সেখানে এক্সটেনডেট ভেলিডেশন খুবই গুরুত্বপুর্ণ। বেশিরভাগ ব্যাংক বা ফিন্যান্সিয়াল কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রতিষ্ঠানরা এটা ব্যবহার করে এবং এটিই সবথেকে জনপ্রিয় বা বিশ্বস্ত গ্রিন সিগনাল (Green Signal) প্রদান করে। সাধারণত ৭-১০ দিন সময় লাগে এই সেবা এক্টিভ করতে।
পরিশেষে, আমরা সাধ্যমত উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি তাই লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না । এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
Decide what you want, decide what you are willing to exchange for it.
Establish your priorities and go to work.
-H. L. Hunt