black-friday-dhamaka-offer

ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে আইটি নাট হোস্টিং (IT Nut Hosting) দিচ্ছে ধামাকা অফার!

বছর জুড়ে চড়া দামের যে পণ্যগুলো কিনতে না পেরে আফসোস করে থাকতে হয়, সেগুলো কিনার গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো ব্ল্যাক ফ্রাইডে। সারা বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে এই ব্ল্যাক ফ্রাইডে অফারের  সময়টাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে অ্যামেরিকা সহ উন্নতশীল বিশ্বের বাকি দেশ গুলোও। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও এখন ব্ল্যাক ফ্রাইডের আমেজ বইতে শুরু করেছে। অনলাইনে কেনাকাটার মাধ্যম সহজ হওয়ায় এবং ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে প্রায় অর্ধেক কিংবা এর বেশি ডিসকাউন্টে কিনতে পারা যায় বলে যে কেউ বাংলাদেশে বসেই অ্যামাজন, আলিএক্সপ্রেস, ওয়ালমার্ট এর মতো বড় বড় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস থেকে পছন্দের পন্য অর্ডার করে থাকেন। এর মধ্যে অনেকে যারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং অথবা টেকনোলজি সম্পর্কিত জব করেন তারা ডোমেইন ও হোস্টিং সার্ভিস সহ নানান ধরনের থিমস, প্লাগিন, সফটওয়্যার, ও প্রয়োজনীয় টুলস কিনে থাকেন।

হোস্টিং রিভিউস বিডি এর পাঠকদের জন্য আজ জানাচ্ছি ঠিক তেমনই কিছু অফার যার মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সার্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পছন্দের ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে পারবেন। তার আগে চলুন ব্ল্যাক ফ্রাইডে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ছোট্ট একটা ইতিহাস।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে কি?

ব্ল্যাক ফ্রাইডে (Black Friday) মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ একটি দিবস। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার আমেরিকায় থ্যাঙ্কস গিভিং ডে পালিত হয়। ঠিক তার পরদিনই অর্থাৎ নভেম্বর মাসের চতুর্থ শুক্রবারটি হচ্ছে ব্ল্যাক ফ্রাইডে দিবস। আমেরিকান রীতি অনুযায়ী এ শুক্রবার থেকেই শুরু হয় ক্রিসমাস হলিডে সিজন।

blackfriday-offer-itnuthosting
Black Friday Super Sale – 29 November, 2019

ব্ল্যাক ফ্রাইডে এর ইতিহাস

১৮৬৯ সালের কথা। আমেরিকায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। ব্যবসায়ীরা নিজের দুরবস্থা কাটাতে ভাবলেন এক অভিনব পন্থার কথা। তারা ঠিক করলেন একটি দিন ঠিক করে নতুন নতুন পণ্য, মূল্য হ্রাসের টোপ ফেলে ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী করে তুলবেন। আর তখনই উদ্ভব হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে। ব্ল্যাক শব্দটি নেকিবাচক অর্থ বহন করলেও ব্ল্যাক ফ্রাইডের ‘ব্ল্যাক’ শব্দটি ব্যবসায়িক দিক থেকে ইতিবাচক দিককে নির্দেশ করে।

মজার ব্যাপার হলো, একটি ব্ল্যাক ফ্রাইডে দিবসে যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তাতে এই একদিনেই আমেরিকার অর্থনীতির সূচক এক লাফে অনেক উপরে উঠে যায়। সাধারণত হিসাবের খাতায় লোকসানকে লাল কালিতে চিহ্নিত করা হলেও এ দিবসের শুরুর দিন থেকেই হিসাব-নিকাশ কালো কালিতে লেখা শুরু হয়ে যায়। কাজেই ব্যবসায় বিরাট লাভ দিয়ে যে দিনটি শুরু হয়, সে দিনকে যথার্থই ব্ল্যাক বলা যায়।

তবে ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামটি এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন উৎস থেকে। ১৯৬৬ সালে ফিলাডেলফিয়া রাজ্য পুলিশ থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’র পরের দিনকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামে অভিহিত করেছিল। কারণ এই দিনে আমেরিকায় বছরের সবচেয়ে বড় সেল ও বছরের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ফুটবল গেম অনুষ্ঠিত হতো। এ খেলার প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত আমেরিকান সেনাবাহিনী। এ খেলার কারণে শহরের রাস্তাজুড়ে থাকতো ট্রাফিক জ্যাম। এ ছাড়া ফুটপাতে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় সামলাতে পাগলপ্রায় হয়ে যেত ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ ও বাস ড্রাইভাররা। এদিনকে সামনে রেখে আমেরিকার রিটেইল স্টোরগুলো এবং আসবাবপত্রের দোকানগুলো বিভিন্ন ছাড় ও পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে থাকে। এছাড়া ছোট-বড় বিভিন্ন কোম্পানি দু’-তিন সপ্তাহ আগে থেকেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল উপলক্ষে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারণা চালাতে থাকে। টিভি-রেডিও এবং প্রতিদিনের সংবাদপত্রে প্রচার চালানোর পাশাপাশি প্রত্যেক বাড়ির মেইলবক্সে রঙিন সেল পেপার দেয় তারা। কে কী আইটেম নিয়ে বাজারে আসছে অথবা কে কত বেশি আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেবে, এটা নিয়ে কোম্পানিগুলোর মধ্যে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্রেতারাও থাকেন উত্তেজিত।

এদিনটি আসার দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকেই ক্রেতারা চিন্তা করতে থাকেন, তারা কোনো আইটেমগুলো কিনবেন। এদিনে সাধারণত ব্ল্যাক ফ্রাইডেকে সামনে রেখে ক্রেতাদের মধ্যে থাকে তীব্র উত্তেজনা। কখনো কখনো আগের রাত থেকেই ক্রেতারা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর এ কারণে কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে। যেমন: ২০০৭ সালে নিউইয়র্কে ঘটেছিল একটি দুঃখজনক ঘটনা। ব্ল্যাক ফ্রাইডের সেলে ওয়ালমার্টে ঢোকার জন্য আগের রাত ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিল মানুষ। ভোর ৫টায় দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার পানির মতো মানুষ ঢুকে পড়ে দোকানে। তাদের ধাক্কায় ৩২ বছর বয়সী এক লোক মাটিতে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত মারা যায়।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে সরকারি ছুটির দিন নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও কিছু রাজ্যে থ্যাংকস গিভিং ডে পরদিন রাজ্য সরকার কর্মচারীদের জন্য একটি ছুটির দিন হিসেবে গণ্য করা হতো। নিয়মিতভাবে ২০০৫ থেকে ধীরে ধীরে এটি একটি বছরের ব্যস্ততম শপিং দিন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্যে।

মূলত ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে কেনাকাটা ওই দিন থেকে শুরু হয়।

সূত্র:- ইন্টারনেট থেকে

ব্ল্যাক ফ্রাইডে ওয়েব হোস্টিং অফার

আসন্ন ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে বিদেশী ই-কমার্স  ও আইটি প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশাপাশি দেশীয় ই-কমার্স  ও আইটি প্রতিষ্ঠান গুলো ইতিমধ্যে তাদের বিভিন্ন পণ্য এবং সেবাতে বিশাল ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া শুরু করেছে। ব্ল্যাক ফ্রাইডে হলো কেনাকাটার ক্ষেত্রে বহুল প্রতীক্ষিত সেই দিন যেখানে সুলভ মূল্যে প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে পারা যায়। শুরুর দিকে এই ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের ধারণা মূলত দোকানভিত্তিক হলেও সময়ের পরিবর্তনে এবং তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে এখন তা ভার্চুয়াল জগতেও বিস্তার লাভ করেছে।

মূলত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

দেশীয় ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠান IT Nut Hosting এর Founder and CEO জনাব রিয়াজুল মাসুদ রিহামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা আসন্ন ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে ওয়েব হোস্টিং এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮৫  শতাংশ ডিসকাউন্ট অফার চালু করেছে এবং যে কেউ মাত্র ৫৯৫ টাকায .COM ডোমেইন কিনতে পারবে পুরো এক বছরের জন্য।

ব্ল্যাক-ফ্রাইডে-অফার-itnuthosting
Black Friday Web Hosting Offer in Bangladesh – IT Nut Hosting

এই অফার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে তাদের ওয়েবসাইট:- https://itnuthosting.com/blackfriday/  এবং অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে https://www.facebook.com/itnuthosting/

সেই সাথে ডোমেইন ও হোস্টিং সম্পর্কিত যে কোন প্রয়োজনে তাদেরকে কল করতে পারে এই নাম্বারে 09638-997755 অথবা ইমেইল করতে পারেন যে কোন সময়

উল্লেখ্য যে, বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে ডিসকাউন্ট অফারের প্রচলন হয়েছে। উন্নতদেশ গুলোর মতো বাংলাদেশেও যদি, সামনের বছরগুলোতে ব্ল্যাক ফ্রাইডে এর প্রচলন আরও বাড়ে তাহলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়েও এর বিশাল ইতিবাচক সুফল ভোগ করা যাবে বলে বিশ্বাস করছেন অর্থনীতিবিদ এবং আইটি বিশেষজ্ঞরা।

You May Also Like

Leave a Reply

%d bloggers like this: